১৯৯৮ সনে এমামুযযামানের আলোড়ন সৃষ্টিকারী দাজ্জাল? ইহুদী খ্রিস্টান ‘সভ্যতা’! বইটি প্রকাশিত হয়। ২০০৮ সনে এই বইটি বাংলাদেশে সর্বাধিক (Best Seller) বিক্রয়ের রেকর্ড সৃষ্টি করে, মাত্র পাঁচ মাসে প্রায় এক লক্ষ কপি বিক্রয় হয়।
দাজ্জাল ইহুদি খ্রিস্টান ‘সভ্যতা’ গ্রন্থটি দাজ্জালের উপর লেখা কোন গতানুগতিক গ্রন্থ নয়। এটি কোর’আন, হাদীস, বাইবেল ও বিজ্ঞানের আলোকে রচিত দুর্লভ তথ্য সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থ। রসুলের ভবিষ্যদ্বাণী মতে আখেরী যামানায় বিরাট ঘোড়ায় চড়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব হরণকারী মহাশক্তিধর একচক্ষু বিশিষ্ট দানব দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে, যার পদতলে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের করুণ পরিণতি নেমে আসবে। এমন পরাশক্তিধর দাজ্জালের পরিচিতিমূলক অসংখ্য হাদীসের রূপক বর্ণনা থেকে আল্লাহর অশেষ রহমতে হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা এমামুযাযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী প্রমাণ করেছেন যে, দাজ্জাল কোন রূপকথার দৈত্য নয় বরং বর্তমান বস্তুবাদী ইহুদি খ্রিস্টান যান্ত্রিক ‘সভ্যতা’ই হচ্ছে সেই দাজ্জাল, চাকচিক্যময় প্রতারক।
আল্লাহর রসুল দাজ্জালের আবির্ভাবকে আদমের সৃষ্টি থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সবচেয়ে বৃহৎ ও সংকটজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন এবং এর থেকে তিনি স্বয়ং আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হোচ্ছে এই জাতির আলেম সম্প্রদায় সেই মহাগুরুত্বপূর্ণ দাজ্জালের ব্যাপারে আশ্চর্য রকম নির্বিকার। এই মহা প্রয়োজনীয় ব্যাপারটাকে বোঝার জন্য যতটুকু শ্রম তারা দিয়েছেন তার চেয়ে লক্ষ গুণ বেশি শ্রম ও সময় দিয়েছেন দাড়ি-মোছ, টুপি-পাগড়ি, পাজামা, মেসওয়াক, কুলুখ আর বিবি তালাকের মতো অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়ার বিশ্লেষণে। ফলে তাদের অজ্ঞাতেই মুসলিম উম্মাহর মহা বিপদ সংকেত বাজিয়ে ৪৭৮ বছর আগেই দাজ্জাল জন্মগ্রহণ করেছে। সে তার শৈশব, কৈশোর পার হয়ে বর্তমানে যৌবনে উপনীত হয়েছে এবং দোর্দণ্ড প্রতাপে সারা পৃথিবীকে তার পায়ের নিচে পদদলিত করে চলেছে। আজ মুসলিম বলে পরিচিত জনসংখ্যাসহ সমস্ত পৃথিবী দাজ্জাল অর্থাৎ ইহুদি খ্রিস্টান যান্ত্রিক ‘সভ্যতা’কে তার রব, প্রভু বলে মেনে নিয়ে তার পায়ে সাজদায় পড়ে আছে। পৃথিবীর এই ক্রান্তিলগ্নে হেযবুত তওহীদ দলমত নির্বিশেষে সমগ্র মানবজাতিকে আহ্বান করেছে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব হরণকারী এই দানবকে প্রতিহত করে আল্লাহ প্রদত্ত এক অনন্য সুযোগ গ্রহণ করে বদর ও ওহুদের দুই যুদ্ধের শহীদের সম্মিলিত সম্মান ও পুরস্কার লাভ করার জন্য। তাই মানবজাতির মুক্তির লক্ষ্যেই এই গ্রন্থখানির প্রচার ও প্রসার অপরিহার্য্য হয়ে উঠেছে। এনশাল্লাহ মহান আল্লাহ এই গ্রন্থের দ্বারা দাজ্জালের স্বরূপ উন্মোচনের মাধ্যমে পথহারা বিভ্রান্ত তেহাত্তর ফেরকায় বিভক্ত এই মুসলিম জনসংখ্যাকে দাজ্জালের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বাত্মক সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার পথ দেখাবেন।
Be the first to review “দাজ্জাল? ইহুদী খ্রীস্টান সভ্যতা!”